বুড়িচংয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে হামলায় ৫ জন আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
পূর্ব বিরোধের জের ধরে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রামপুর (পোস্ট অফিস) গ্রামে অতর্কিত হামলা চালিয়ে অন্তত ৫জনকে আহত করার ঘটনা ঘটেছে।

গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে রামপুর বাজার সংলগ্ন জিহান ফুটওয়ারের পাশে এমরান হোসেনের দোকানের সামনের এ হামলা চালানো হয়।

হামলায় রামপুর গ্রামের প্রয়াত আবদুর রহিমের পুত্র রামপুর বাজারের দোকানী এমরান হোসেন, তার ভাগিনা ফাহিমুল হাসান (মিশুক), বোন ফেরদৌসি আক্তার, ভগ্নিপতি আবদুল মান্নানসহ ৫/৬জন আহত হয়েছেন। পূর্ব বিরোধের জের ধরে রামপুর গ্রামের মৃত আবদুল অদুদের ছেলে শামছুল হক সাম মিয়া, একই গ্রামের বাচ্চু খলিফার পুত্র সাইফুল ইসলাম ও তুহিনসহ ৭/৮ জন দুর্বৃত্ত এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন এমরান হোসেন।

হামলার সময় জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর ‘৯৯৯’-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে গুরুতর আহত ফাহিমুল হাসান মিশুককে চিকিৎসার জন্য বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই হামলাকারী শামছুল হক সাম মিয়া, সাইফুল ইসলাম ও তুহিনসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন রামপুর গ্রামের প্রয়াত আবদুর রহিমের পুত্র মোঃ এমরান হোসেন।

অভিযোগের পর শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থলে যান তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামীম।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে এমরান হোসেন উল্লেখ করেন, প্রতিবেশী শামছুল হক সাম মিয়া’র সাথে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

এ বিষয়ে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। মামলার পর থেকেই সে বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলো। এরই জের ধরে ১৭ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সাম মিয়া, সাইফুল ইসলাম ও তুহিনসহ ৭/৮ জন ব্যক্তি লাঠি-সোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার দোকানের পেছনের জায়গা জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে।

আমি দোকান থেকে বের হয়ে তাদের বাধা দিতে গেলে আমার উপর হামলা চালায়। এসময় দোকানের পাশে আমার ভাগিনা ফাহিমুল হাসানও ছিলো। সন্ত্রাসীরা তাকেও ব্যাপক মারধর করে। খবর পেয়ে বাড়ি থেকে আমার বড় বোন ও ভগ্নিপতি ছুটে আসলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। যারা-ই আমাদের বাঁচাতে আসছিলো- তাদেরকেই মারধর ও হুমকি দিতে থাকে। হামলার এক পর্যায়ে আমরা প্রাণে বাঁচতে দোকানের ভেতর ঢুকে সাটার বন্ধ করে দেই। পরে পুলিশ আসার খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।

বুড়িচং থানার ওসি আবুল হাসানাত খন্দকার বলেন, রামপুরে হামলা ও মারধরের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামীমকে অভিযোগের তদন্তভার দেওয়া দেওয়া হয়েছে।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

You cannot copy content of this page